-
-
(ক) সে অপরাধী নয়।
-
-
(১৭)
নিচের গদ্যাংশটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
চিন্তার চর্চা মানুষের জীবন দর্শনের প্রধান উপাদান। কিন্তু বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় আমাদের মানবসমাজ চিন্তার রাজ্য থেকে নির্বাসন নিয়ে কেবল যন্ত্রনির্ভরই হচ্ছে, তা নয়, অধিকন্তু আমরা নিজেরাই আজ এক একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন আবিস্কারকে জীবনের প্রয়োজনে ব্যবহার করে জীবনকে উন্নত করার বদলে যন্ত্রের কাছেই আমরা সমর্পণ করেছি জীবনকে, যার ফলে যন্ত্রের উৎকর্ষের সঙ্গে তাল রেখে মানুষের মানবীয় গুণাবলি উৎকর্ষমণ্ডিত হচ্ছে না। মানুষের মানবিকতার বিজয়পতাকা উড্ডীন রাখতে হলে অবশ্যই জীবনের যথার্থ উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। বিবেচনাহীন ভোগ প্রবণতা মানুষকে পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট করে তুলে, যা অবশ্যই আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই নতুন যে কোনো কিছুকে স্বাগত জানানোর আগে জীবনে তার প্রয়োজন কতটুকু বা জীবনের জন্য ক্ষতিকর কিনা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর গভীরভাবে খুঁজতে হবে।
-
(১৮)
নিচের কবিতাংশটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হবো- কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
-
(১৯)
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
স্বামীর মৃতদেহের সাথে বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত দাহ করার রীতি 'সতীদাহ' নামে পরিচিত। প্রচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষের হিন্দুসমাজে এ রীতি চলে আসছিল। যে নারী তার যথাসর্বস্ব দিয়ে স্বামী-সন্তান ও সংসারের জন্য কাজ করে গেল সেই নারীকেই মৃত স্বামীর সাথে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হতো। অথচ কোনো স্ত্রী মারা গেলে তার সাথে স্বামীকে দাহ করা হতো না। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায়ের কাছে বিষয়টি খুবই আপত্তিকর ও বেদনাদায়ক মনে হলো। তারা সতীদাহ প্রথা বন্ধের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সরকারের সাথে দেন-দরবার শুরু করলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো। তৎকালীন সমাজপতি ও ব্রাহ্মণসমাজ শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিদ্যাসাগর ও রামমোহন রায়েরই জয় হলো। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা বাতিল ঘোষণা করলেন।